“সভ্যতা উন্মোচিত হয়েছে, রাষ্ট্রগুলি উন্নত হয়েছে...বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, আবিস্কারসমূহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সবই সূচিত করে যে অস্তিত্বের জগত প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছে এবং উন্নতি করছে এবং সুতরাং, নিশ্চিতভাবে, ন্যায়পরতা যা মানুষের পরিপক্কতা সূচিত করে, অবশ্যই, সেইভাবে, বিস্তৃত হবে এবং বাড়তে থাকবে।”



আবদুল-বাহা

মানবজাতি বর্তমানে একটি পরিবর্তনের যুগে অবস্থান করছে যেখানে সে শিশুকালের অপরিপক্কতা পিছনে ফেলে এসেছে এবং পরিপক্কতার দোরগোড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বাকী অংশের মতো, এই সময়ে ভারতীয় সমাজ হতবুদ্ধিকর পরিবর্তনগুলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেখানে প্রক্রিয়া, গঠণপ্রনালী এবং বিগত সময়ের ঐতিহ্যসমূহ আর সমকালীন বিশ্বের জটিল বাস্তবতায় নিজের নৈপুন্য প্রকাশ করতে পারছে না। সর্বত্র এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে পথ-নির্দেশ এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিকস্তরে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য হাহাকার সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।

ঐতিহাসিকভাবে, ধর্ম হোলো প্রধান শক্তি যা মানবিক প্রকৃতিকে সভ্য করছে এবং নৈতিকতা এবং আইনে এর অবদানসমূহ সামাজিক কাঠামো রক্ষা করছে। দিব্য বার্তাবাহকবৃন্দ যেমন কৃষ্ণ, বুদ্ধ, জোরোস্টার, মোজেস, যীশুখ্রীষ্ট, এবং অবতার মহম্মদ প্রতিটি যুগের প্রয়োজন অনুযায়ী আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক শিক্ষাবলী প্রদান করে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

দিব্য উদঘাটনের এই শেষ না হওয়া প্রক্রিয়ায় বাহাই ধর্ম হোলো নবীনতম অধ্যায়। বাহাউল্লাহ, বাহাই ধর্মের অবতার প্রতিষ্ঠাতা, প্রকাশ করেছিলেন যে, মানবজাতি এর যৌথ ক্রমবিকাশের সন্ধিক্ষনে রয়েছে যেখানে মানবজাতির একতা অর্জনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসমূহ এবং সামর্থ্যসমূহ আছে। এই একত্রীকরন, যা হবে মানবজাতির যুগের আগমনের বৈশিষ্ঠ্য সূচকচিহ্ন, ব্যক্তির জীবনের, সমাজের এবং সমাজের কাঠামোর সম্পূর্ন পুর্নবিন্যাসে যা জড়িত থাকবে।

পরিবর্তনের যুগে বাহাই ধর্মের উদ্দেশ্য হোলো উদ্দীপিত, লালন করা এবং ব্যক্তির অন্তস্থঃ জীবন এবং সমাজের কাঠামোগুলির মৌলিক রূপান্তরকে পথ-নির্দেশ প্রদান করা, যখন আমরা মানবজাতির একত্রীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।