“তোমাদের জন্য স্বর্গ এবং পৃথিবীতে সকল কিছু যা নির্ধারন করেছি, শুধু মানুষের হৃদয় ছাড়া, যাকে আমি আমার সৌন্দর্য এবং মহিমার বসতি করেছি...”



বাহাউল্লাহ

সময় এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে, আরও বেশী আকারের বাহাউল্লাহর শিক্ষাবলীতে জনগণ একটি সুন্দর পৃথিবীর এবং গভীর অন্তর্দৃষ্টির একটি সূত্রের অমোঘ প্রভাবের দর্শনক্ষেত্র আবিস্কার করছেন যা অবশ্যই উপলব্ধির লক্ষ্যে পথনির্দেশ করবে। অনেকে আরও এগিয়ে গিয়ে বাহাই বিশ্বাসকে ধর্ম হিসেবে পরীক্ষা করছেন।এটা করতে গিয়ে, তারা মানুষের প্রকৃতি সম্বন্ধীয় এর ব্যাখ্যা মানুষকে পথনির্দেশ করার ঈশ্বরের পথের সন্ধান, জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে এর বক্তব্যগুলি, জীবন মৃত্যুর প্রকৃতি এবং যৌথ এবং ব্যক্তিগত ও ভক্তিমূলক জীবন সম্বন্ধে এর নীতিবাক্যগুলি পরীক্ষা করছেন। এবং অবশ্যই, তারা এর পবিত্র রচনাংশ এবং বিধিসমূহ, এবং মূলনীতিগুলি এবং এর নিয়মাবলী যা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করছে সেই বিষয়ে নিজেদের অবহিত করছেন। এইসব এবং একইরকম উপাদানসমূহের স্বীকৃতি একটি গতিশীল সমাজ জীবনে অংশগ্রহণের রাস্তা খুলে দেয় যা বাহাউল্লাহর শিক্ষাবলীকে বাস্তবে সহজবোধ্য করার জন্য নিবেদিত। এটা স্বাভাবিক যে, বাহাইগণ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে, এবং, যদি কেউ তার (নারী-পুরুষ) অন্তরে বিশ্বাসের বিচ্ছ্বরণ অনুভব করে সে স্বাগত–প্রকৃতপক্ষে, আমন্ত্রিত–বাহাই সমাজের সক্রিয় সেবক হতে, যে এর নিয়ত বৃদ্ধি এবং স্পন্দনে অবদান রাখছেন। যদিও, “রূপান্তর” শব্দটির সাধারণ ধারণা এই প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য নয় এবং ধর্মান্তকরন বাহাই ধর্মে নিষিদ্ধ।

এই আলোকপাতে, যখন একজন বাহাই অন্যজনের সঙ্গে নিজের বিশ্বাস নিয়ে কথা বলে, সেই কাজটি কিন্তু কাউকে বিশ্বাস করানো নয় অথবা একটি নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ করানো নয়। সেটা হোলো একটি অকপট অভিব্যক্তি কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা অস্তিত্বের প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কিত, সত্যকে খুঁজতে কোনও ভুল ব্যাখ্যা দূর করা। “যদি তোমরা একটি নির্দিষ্ট সত্য সম্পর্কে সজাগ হও”, বাহাউল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে, “যদি তোমার একটি অলংকার থাকে যার থেকে অন্যরা বঞ্চিত, তাদের সঙ্গে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত উদারতা এবং সদিচ্ছায় কথা বলো। যদি তা গ্রহনীয় হয়, যদি তা উদ্দেশ্যপূর্ণ করে, তোমার লক্ষ্য অর্জিত হবে। যদি কেউ তা অগ্রাহ্য করে, সেটি তার ওপরে ছেড়ে দাও এবং তাকে পথনির্দেশ করতে ঈশ্বরকে মিনতি জানাও।”

কেবলমাত্র বিশ্বাসের অভিব্যক্তি, যদিও, সুন্দর পৃথিবী গড়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় – স্পষ্ট দৃষ্টিগ্রাহ্য কাজও প্রয়োজনীয়। বাহাউল্লাহ লিখেছেনঃ “উপলব্ধি এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন সকল মানুষের উপর তা অবশ্য পালনীয় তাকে রূপান্তর করার কঠোর চেষ্টা করা যা বাস্তবে এবং ক্রিয়াতৎপরতায় লিখিত।”