বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভিক বছরগুলিতে, আবদুল-বাহা বাহাউল্লাহর জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন বাহাই ধর্মের নেতৃস্থানীয় প্রবক্তা, সামাজিক ন্যায়ের এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য একজন শ্রেষ্ঠ রাজদূত।
তাঁর শিক্ষাগুলির প্রাথমিক মূলনীতি হিসেবে একতাকে তুলে ধরে, বাহাউল্লাহ প্রয়োজনীয় রক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, তাঁর ধর্ম অন্যদের মতো কখনও একইরকম ভাগ্য পরীক্ষায় পড়বে না যা তাদের প্রতিষ্ঠাতাদের মৃত্যুর পর বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্টীতে ভাগ হয়ে যায়। তাঁর রচনাবলীতে, তিনি সকলকে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র আবদুল-বাহা মুখী হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র বাহাই রচনাবলীর অনুমোদিত ব্যাখ্যাদাতাই নয়, বরং ধর্মের মানসিকতা এবং শিক্ষাগুলির একজন সঠিক দৃষ্টান্ত হিসেবেও।
বাহাউল্লাহর মৃত্যুর পর, আবদুল-বাহার চরিত্রের অসাধারণত্ত্ব তাঁর জ্ঞান এবং মানবজাতির প্রতি তাঁর সেবা চলতে থাকা বাহাউল্লাহর শিক্ষাগুলির একটি উজ্জ্বল প্রকাশ সামনে এনেছিলো, এবং বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল সমাজের প্রতি বিশাল মর্যাদা এনে দিয়েছিলো।
আবদুল-বাহা তাঁর সেবাকালে পিতার ধর্ম আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং শান্তি ও ঐক্যে্র আদর্শ প্রচার করতে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি স্থানীয় বাহাই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন, এবং সদ্য শুরু হওয়া শিক্ষামূলক, সামাজিক এবং আর্থিক উদ্যোগগুলিকে পথনির্দেশ করেছিলেন। সারাজীবন ব্যাপী বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে, আবদুল-বাহা বিভিন্ন ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়েন, যার মধ্যে ছিলো ইজিপ্ট, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা যাত্রা। সারাজীবনব্যাপী তিনি উচ্চ এবং নীচ নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রে অসাধারণ সরলতা সামনে এনেছিলেন, সমাজের আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক নবীকরণে যা ছিলো বাহাউল্লাহর বিধান।
Exploring this topic:
- The Life of ‘Abdu’l-Bahá
- The Significance of ‘Abdu’l-Bahá
- The Development of the Bahá’í Community in the time of ‘Abdu’l-Bahá
- Quotations
- Articles and Resources