সারা ভারতে গ্রাম এবং প্রতিবেশী অঞ্চলগুলি যৌথ উপাসনার জন্য সমাবেশগুলির বিস্তার প্রত্যক্ষ করছে। হাজার হাজার আত্মাসমূহ নানাবিধ অবস্থাসমূহে বাড়িতে জড়ো হয়ে মাসিক, সাপ্তাহিক অথবা দৈনিকরীতিতে প্রার্থনা জানাচ্ছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলির সারার্থ পড়ছেন, এবং তাদের জীবনে এর তাৎপর্য নিয়ে পরামর্শ করছেন। বিভিন্ন বয়সীদের, প্রেক্ষাপটের বন্ধুদের এইসব ছোটো আকারের জমায়েতগুলি ব্যক্তিদের আধ্যাত্মিক জীবনগুলির উৎকর্ষতা বাড়াতে কাজ করছেন, এবং সমাজে এবং স্থানীয় অঞ্চলে একতার আধ্যাত্মিক বন্ধন সংঘবদ্ধ করছেন।
অন্যদিকে বাহাই সমাজের উপাসনালয়সমূহ রয়েছে যেখানে সকল পটভূমিকার মানুষ প্রার্থনার জন্য এবং ধ্যানের জন্য সমবেত হন (একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হোলো দিল্লীর বাহাই উপাসনালয় যার নাম লোটাস টেম্পল), বাহাইগণ এও বিশ্বাস করেন যে, যে কোনও স্থান যেখানে মানুষ ঈশ্বরের স্মরণে সমবেত হন উপাসনালয়ের মতো সেখানে আশীর্বাদিত হন। যেহেতু বাহাই ধর্মে যাজক বা পুরোহিত প্রথা নেই, দায়িত্বটি প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর পড়ে যাতে তাঁর (স্ত্রী/পুরুষ) সমাজের আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি সাধনের মুখ্য প্রবক্তার ভার তাদের ওপর পড়ে, যেমন একভাবে ভক্তিপূর্ন সভাসমূহের আয়োজন করা যেখানে ব্যক্তিরা এবং পরিবারবর্গ সেই দায়ীত্ব পালন করেন।