১৯ শতকের মাঝামাঝি—পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম অত্যন্ত অশান্ত সময়সমূহে—একজন যুব ব্যবসায়ী ঘোষণা করলেন যে, তিনি ছিলেন একজন বার্তার বাহক যা মানবজাতির জীবন রূপান্তরে পূর্ব-নির্ধারিত। একটি সময় যখন তার দেশ ইরান, ব্যাপক নৈতিক অবক্ষয়ের পথে চলছিলো। তার বার্তা সমস্ত শ্রেণীর মধ্যে উত্তেজনা এবং আশা জাগিয়ে তুললো, দ্রুত হাজার হাজার অনুগামীদের আকর্ষন করলো। তিনি “দ্য বাব” নাম গ্রহণ করলেন, যার অর্থ আরবীতে “দ্য গেট”।
আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক সংস্কার সাধনের জন্য তাঁর আহ্বান এবং মহিলাদের এবং অধিকাংশ দরিদ্রের অবস্থার উন্নতি-সাধনে তাঁর মনোযোগ বিষয়ে আধ্যাত্মিক নবরূপায়নের জন্য বাব-এর নির্দেশ ছিলো বৈপ্লবিক। একই সঙ্গে তিনি একটি স্পষ্ট, স্বাধীন ধর্ম নিজের থেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁর অনুগামীদের উজ্জীবিত করে এবং তাদের জীবনধারার রূপান্তর এনে এবং বীরত্বের কার্যধারা সম্পাদন করে।
বাব ঘোষণা করেছিলেন যে, মানবজাতি একটি নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর ধর্ম মাত্র ছয় বছর ছিলো, যা ঈশ্বরের একটি মহাপ্রকাশের আগমনের জন্য তৈরি হয়েছিলো যিনি, বাহাউল্লাহ পৃথিবীর সকল ধর্মে শান্তি এবং ন্যায়ের যুগের সূচনা করবেন।